Monday, September 9, 2024

অনেক তো ডাক্তার দেখালেন একবার আসুন আমাদের কাছে; সঠিক চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি

ইনশাআল্লাহ! আগামী কাল মঙ্গলবার 10 তারিখ “ উত্তরা মোল্লার টেক‘‘ উদয়ান স্কুলের সামনে সকাল 10:00 টা থেকে সন্ধ্যা 7:00 পর্যন্ত রোগী দেখবো। আপনারা যারা রোগী দেখাতে চান সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
✅ আমাকে দেখাতে হলে অবশ্যই আপনাকে আপনার মেডিকেল রিপোর্ট গুলো যদি থাকে তাহলে সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে। আপনারা যারা প্যারালাইসিস, ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার, টিউমার, সোরিয়াসিস, ব্রেন টিউমার, ব্রেস্ট টিউমার, পিত্তপাথুরী, চর্ম, হাঁপানি, লিভার সিরোসিস, জন্ডিস, বাত ব্যথা, মাইগ্রেন এবং ঠান্ডা লাগা সহ শিশুদের এবং বড়দের যেকোন জটিল রোগের পরামর্শ ও চিকিৎসা দেওয়া হয়।
✍️ আমার চিকিৎসাধীন রোগীদের ফলোআপ কেস দেখতে এই লিংকে: https://www.youtube.com/playlist
... ক্লিক করুন।
✅উত্তরা চেম্বারে আসার সহজ পথ: এয়ারপোর্ট রেলগেট থেকে রিকশা নিবেন; বলবেন উদায়ন স্কুলের সামনে নামবো।
✍️সিরিয়ালের জন্য যোগাযোগ করবেন: 01674-180362 এই নাম্বারে ( সকাল 9টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত সিরিয়াল নেওয়া হয় )
ডা. সাদ ইবনে মোজাম্মেল(সাদ)
জেনারেল হোমিওপ্যাথি প্রাকটিশনার
‼️ অনলাইনে চিকিৎসা করি না ‼️


 

Tuesday, February 6, 2024

ধরা পড়েছে ফ্যাটি লিভার ? কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না?


 জীবনযাত্রায় ব্যাপক অনিয়মের ফলে বিশ্ব জুড়েই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সম্প্রতি এমসের একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রায় ৩৮ শতাংশ ভারতীয় নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন। যকৃৎ বা লিভার আমাদের শরীরের ভিতরের অঙ্গগুলির মধ্যে সবচেয়ে বড়। আমরা যা খাই, তা হজম করতে, খাবার থেকে পাওয়া শক্তি সঞ্চয় করতে আর শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বার করার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি লিভারই করে। এই লিভারের কোষে নানা কারণে ফ্যাট জমে। খুব অল্পস্বল্প ফ্যাট জমলে তা স্বাভাবিক। কিন্তু চর্বির পরিমাণ বাড়লেই ঝামেলা। ফ্যাটি লিভার দু’ধরনের হয়— অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজ়িজ় (এএফএলডি) এবং নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজ়িজ় (এনএএফএলডি)।

এখন অল্প বয়সেই এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। এক বার এই রোগে আক্রান্ত হলে খাওয়াদাওয়ায় চলে আসে অনেক রকম বিধিনিষেধ। জেনে নিন, এই রোগে আক্রান্ত হলে কী খাওয়া যাবে আর কী একেবারেই খাওয়া যাবে না।

কী কী খাবেন?

সবুজ শাকসব্জি: সবুজ শাকসব্জির মধ্যে যে পলিফেনল ও নাইট্রেট পাওয়া যায়, তা লিভারের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। তবে রান্না ও সেদ্ধ করে ফেললে এর মধ্যেকার পলিফেনলের পরিমাণ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কার্যকারিতা অনেকটাই কমে যায়। তাই শসা, লেটুসের মতো কাঁচা শাকসব্জি স্যালাড হিসাবে বেশি করে খেতে পারেন।

ডাল ও বীজজাতীয় খাবার: ডাল, ছোলা, মটরশুঁটি ইত্যাদি খাবারে স্টার্চ ও ফাইবার ভরপুর মাত্রায় থাকে। এ সব খাবার পরিপাকতন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর, একই সঙ্গে এগুলি ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতেও সাহায্য করে।

সামুদ্রিক মাছ: ইলিশ, পমফ্রেট ইত্যাদি মাছে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড উপকারি এইচডিএল কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং ক্ষতিকর ট্রাইগ্লিসারাইড কমিয়ে লিভারে চর্বি ও প্রদাহ কমায়।

লেবু, টক দই: শরীর থেকে যতটা টক্সিন বার করে দিতে পারবেন, লিভার ততটাই সুস্থ থাকবে। দিনে কয়েক বার গরম জলে পাতিলেবুর রস দিয়ে সেই জল খান। ডায়েটে রাখুন টক দইয়ের মতো প্রোবায়োটিক।

মশলাপাতি: কাঁচা হলুদের কারকিউমিন লিভারের জন্য ভাল। রাতে দুধের মধ্যে এই হলুদ গুলে খেতে পারেন। কাঁচা রসুনও যকৃতের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

কী কী খাবেন না?

চিনি: ফ্যাটি লিভারের সবচেয়ে বড় শত্রু কিন্তু চিনি বা শর্করা। সরাসরি চিনি কিংবা চিনি রয়েছে, এমন যে কোনও খাবার, মিষ্টি, নরম পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। বাড়তি চিনিই ট্রাইগ্লিসারাইড হিসেবে যকৃতে জমা হয়।

ভাজাভুজি: উচ্চ তাপমাত্রায় ভাজা যে কোনও খাবার থেকে দূরে থাকুন। চিকেন পকোড়া, ফিশ ফ্রাই, ফুচকা— যে কোনও ধরনের বাইরের খাবার খাওয়ার আগে সতর্ক হোন।

নুন: রান্নায় নুনের ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। কাঁচা নুন খাওয়া যাবে না। প্রক্রিয়াজাত খাবারে অনেক বেশি মাত্রায় নুন থাকে । সুতরাং, সেই খাবারও এড়িয়ে চলুন।

শর্করা: সাদা ভাত, ময়দার তৈরি রুটি, পাউরুটি ও পরোটা, নান, নুডলস, পাস্তা ইত্যাদি খাবার লিভারে ফ্যাটের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই এগুলি খাওয়ার মাত্রাও কমিয়ে আনুন।

রেড মিট: রেড মিট, যেমন গরু কিংবা খাসির মাংস খাওয়া কমিয়ে ফেলুন। মুরগির মাংস খেতে পারেন।

মদ: মদ্যপান একেবারে বন্ধ করতে হবে। এই অভ্যাস বাদ না লিলে কিন্তু লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

আরও কিছুু জনতে লিখাতে ক্লিক ককরুন।

Wednesday, January 31, 2024

এনাল ফিস্টুলা

 




এনাল ফিস্টুলা এক প্রকার পায়ুপথের রোগ। খাবার পেটে গিয়ে হজম হওয়ার পর অবশিষ্ট অংশ পায়খানা হিসেবে আমাদের মলাশয়ে জমা হতে থাকে। মলাশয় ভরে গেলে পায়খানার চাপ তৈরি হয় এবং মলত্যাগের সময়ে পায়ুপথের মাধ্যমে পায়খানা মলদ্বার দিয়ে শরীর থেকে বের হয়ে আসে।

মলদ্বারের আশেপাশের চামড়ায় কখনো কখনো জীবাণুর আক্রমণে ইনফেকশন বা ফোঁড়া হতে পারে। অনেক সময় এসব ফোঁড়া থেকে পুঁজ বের হয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়, যা পায়ুপথের সাথে একধরণের রাস্তা তৈরি করে। ফোঁড়া বা অন্য কোনো কারণে মলদ্বার ছাড়া পায়ুপথের সাথে এই ধরণের অস্বাভাবিক রাস্তা তৈরি হলে সেটিকে এনাল ফিস্টুলা বা মলদ্বারের ফিস্টুলা বলে। অনেকের কাছে এটি ভগন্দর নামেও পরিচিত।

এধরণের ফিস্টুলা বা ভগন্দর হলে মলদ্বারের আশেপাশে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া সহ নানান রকম লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এই ফিস্টুলাগুলো সাধারণত চিকিৎসা ছাড়া নিজে থেকে ভালো হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফিস্টুলা সারাতে অপারেশন করার প্রয়োজন হয়।

এনাল ফিস্টুলার লক্ষণ

মলদ্বারের ফিস্টুলা বা ভগন্দর হলে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। যেমন—

  • মলদ্বারের আশেপাশের চামড়ায় জ্বালা পোড়া বা চুলকানি হওয়া
  • মলদ্বারের আশেপাশে ব্যথা হওয়া। সাধারণত সারাক্ষণ একটি টনটনে ব্যথা থাকে যা বসলে, হাঁটাচলা করলে, কাশি দিলে বা পায়খানা করার সময়ে আরও বেড়ে যায়
  • মলদ্বারের আশেপাশের জায়গা থেকে দুর্গন্ধযুক্ত পুঁজ বের হওয়া
  • মলদ্বারের আশেপাশের জায়গাটি ফুলে লাল হয়ে যাওয়া। সাথে ফোঁড়া থাকলে জ্বরও আসতে পারে
  • পায়খানার সাথে রক্ত ও পুঁজ বেরিয়ে আসা
  • কিছু ক্ষেত্রে পায়খানার উপর নিয়ন্ত্রণ চলে যেতে পারে। অর্থাৎ, পায়খানার চাপ আসলে রোগী তা আর চেপে রাখতে পারে না অথবা পায়খানার চাপ এসেছে তা বুঝার আগেই পায়খানা হয়ে যেতে পারে।

অনেক ক্ষেত্রে মলদ্বারের আশেপাশের চামড়ায় ছিদ্রের মত ফিস্টুলার রাস্তাটি বাহির থেকে দেখা যেতে পারে। তবে সাধারণত রোগীর নিজের পক্ষে এটি দেখা কষ্টকর।

এনাল ফিস্টুলা হওয়ার কারণ

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মলদ্বারের আশেপাশের ফোঁড়া থেকে ফিস্টুলা তৈরি হয়। সাধারণত পুঁজ বের হয়ে যাওয়ার পরে ফোঁড়াটি ঠিকমতো না শুকালে এমনটা হয়।

এছাড়া আরও কিছু কারণে এনাল ফিস্টুলা হতে পারে। যেমন—

১. টিবি (যক্ষ্মা) / এইচআইভি (এইডস): এসব রোগে আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রে এনাল ফিস্টুলা দেখা দিতে পারে।

২. মলদ্বারের অপারেশন: পায়খানার ছিদ্রপথের আশেপাশে কোনো অপারেশন হয়ে থাকলে এরপর সেখান থেকে নতুন রাস্তা তৈরি হয়ে এনাল ফিস্টুলা দেখা দিতে পারে৷

৩. ক্রন’স ডিজিজ: এটি একধরনের অসুখ যেখানে পরিপাক নালীতে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। এতে ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা হওয়া কিংবা পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া সহ নানান লক্ষণ দেখা দেয়।

৪. ডাইভারটিকুলাইটিস: এই অসুখটি হলে পরিপাক নালীর শেষ অংশ (বৃহদান্ত্রের) গায়ে কিছু অংশ ফুলে থলির মত হয়ে যায় ও সেখানে ইনফেকশন হয়।

৫. হাইড্রাডেনাইটিস সাপুরাটিভা: এটি এক ধরনের অসুখ যেখানে শরীরের যে অংশগুলোতে ঘাম বেশি হয় সেখানের চামড়ায় ফোঁড়া হয় এবং চামড়া মোটা হয়ে দাগের মত হয়ে যায়।

এনাল ফিস্টুলা হলে করণীয়

এনাল ফিস্টুলার লক্ষণগুলো অনেকদিন ধরে থাকলে দেরি না করে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি ডাক্তার দেখাতে হবে। ডাক্তার লক্ষণগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইবেন। এছাড়া নাড়িভুঁড়ি বা পেটে অন্য কোনো ধরণের সমস্যা আছে কি না তাও জানতে চাইবেন।

এ সময় ডাক্তার প্রয়োজনে মলদ্বারের আশেপাশের জায়গাটি পরীক্ষা করে দেখবেন। ফিস্টুলার অবস্থা বুঝার জন্য প্রয়োজনে মলদ্বার দিয়ে আলতোভাবে এক আঙুল প্রবেশ করিয়েও পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এই পদ্ধতিকে ডিআরই (ডিজিটাল রেকটাল এক্সামিনেশন) বলা হয়।

এই রোগের ক্ষেত্রে যে পরীক্ষাগুলো করা হতে পারে সেগুলো হলো—

  • পুনরায় ডিআরই বা পায়ুপথে আঙুল ঢুকিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হতে পারে
  • প্রোক্টোস্কোপি করা হতে পারে—যেখানে মলদ্বার দিয়ে একটি নলের মত বিশেষ যন্ত্র ঢুকানো হয়। এটির সাহায্যে ফিস্টুলার রাস্তা আছে কি না তা ভালোভাবে দেখা যায়
  • এছাড়া আলট্রাসাউন্ড স্ক্যান, এমআরআই অথবা সিটি স্ক্যান ইত্যাদি পরীক্ষাও করা হতে পারে

এনাল ফিস্টুলার চিকিৎসা

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এনাল ফিস্টুলার চিকিৎসা হিসেবে অপারেশন করা হয়। খুব গুরুতর না হলে অপারেশন করা মোটেই ঠিক নয়।


অপারেশনের পর সাধারণত যেসব অসুবিধা দেখা দিতে পারে

এনাল ফিস্টুলার অপারেশনের পর সাধারণত যেসব অসুবিধা দেখা দিতে পারে সেগুলো হলো—

  • ইনফেকশন: সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়। তবে অনেক বেশি ইনফেকশন হলে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। অথবা পুনরায় অপরেশন করা লাগতে পারে।
  • পুনরায় ফিস্টুলা ফিরে আসা: অপারেশন করে অপসারনে পরও অনেক সময় একই জায়গায় আবার ফিস্টুলা দেখা দিতে পারে।
  • পায়খানার চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা: ফিস্টুলার সবধরনের চিকিৎসাতেই এই অসুবিধাটি দেখা দিতে পারে। তবে সাধারণত এতে খুব বেশি সমস্যা হয় না এবং এটি নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়।

এ সমস্যাগুলো কতটা জটিল হতে পারে তা সাধারণত ফিস্টুলাটি কোথায় হয়েছে এবং কোন পদ্ধতিতে এটির চিকিৎসা করা হচ্ছে সেটির উপর নির্ভর করে। তাই আমার রিকোয়েস্ট থাকবে প্রথম স্টেজেই একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিলে পরিপূর্ণ সুস্থ হবে।


আমাদের চিকিৎসার ফলোআপ:

1. দেখুন, ক্লিক করুন।


Saturday, January 27, 2024

কোন সময়ের রোদে সবচেয়ে বেশি ‘ভিটামিন ডি’ থাকে?

 

রোদে যাব, না-কি যাব না? এই প্রশ্ন আমাদের সবারই মাথায় কমবেশি আসে। অনেকে মনে করেন রোদে গেলে ত্বক পুড়ে যাবে, রোদের ক্ষতিকারক আলট্রা ভায়োলেট রে ত্বকের ক্ষতি করবে, এ কারণে রোদে যাওয়া হয় না। তবে রোদে যাওয়ারও উপকারিতা আছে।

রোদ থেকে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি সহজেই গ্রহণ করতে পারি। একজন মানুষের সুস্থতার জন্য ভিটামিন ডি অপরিহার্য। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে কিছুক্ষণ রোদে দাঁড়ালে আপনিও আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন গ্রহণ করতে পারবেন।
আমাদের ত্বকে রোদ পড়লেই সেটি থেকে ভিটামিন ডি তৈরি হয়। আর শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি থাকলে তা দিয়ে পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ক্যালসিয়াম তৈরি হয়। তাই তো ভিটামিন ডি-কে বলা হয় ‘সানশাইন ভিটামিন’।
রোদ থেকে কীভাবে আমাদের শরীর ভিটামিন ডি পায়?
মূলত রোদের সংস্পর্শে এলে ত্বকে থাকা কোলেস্টেরল দিয়ে তৈরি হয় এই ভিটামিন।
 
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কম বয়সীরা শরীরে ভিটামিন ডির অভাবে অবসাদগ্রস্ত হন। যাদের শরীরে ভিটামিন ডির অভাব রয়েছে তারা অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন। আর আমাদের বয়স যত বাড়বে, তত আমাদের শরীর ভিটামিন ডি তৈরির সক্ষমতা হারাবে। এতে করে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হাড় ক্ষয়ের মতো রোগ আমাদের ঝেঁকে ধরে।( বর্তমান প্রেক্ষাপটে ৬০% মানুষ হাড় ক্ষয় রোগে ভুগছেন কোন না কোন ভাবে)
এখন প্রশ্ন উঠে ভিটামিন ডি পেতে কতক্ষণ রোদে থাকতে হবে? এছাড়া কোন সময়ের রোদে গেলে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়?
সূর্যের আলো ভিটামিন ডির প্রাকৃতিক উৎস সেটা আমরা কম-বেশি সবাই জানি। তবে ভিটামিন ডি পেতে দিনের ঠিক কোন সময়ের রোদ গায়ে লাগাতে হবে সে বিষয়ে অনেকেই জানেন না।
 
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যের রোদ ভিটামিন ডির খুব ভালো উৎস। অর্থাৎ, বাইরে বের হয়ে যখন দেখবেন আপনার ছায়া আপনার তুলনায় ছোট, সেই সময়ের রোদে আপনার ত্বক সবচেয়ে ভালো ভিটামিন ডি উৎপন্ন করতে পারে।
অন্য একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মিড ডে-র পরে রোদে যাওয়া আরও বেশি ক্ষতিকর। এতে স্কিন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পেতে সূর্যের আলো ত্বকে সরাসরি লাগাতে হবে। পোশাক বা সানস্ক্রিন সরাসরি ত্বকে ভিটামিন ডি তৈরিতে বাধা দেয়। তাই মুখে সানস্ক্রিন মেখে বের হলেও ভিটামিন ডি পেতে হাত-পা যেন উন্মুক্ত থাকে সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। তাছড়া মাঝেমধ্যে সানস্ক্রিন ছাড়াই রোদে বের হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
এছাড়া দিনে মাত্র ২০ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকলেই আপনার শরীর পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি গ্রহণ করতে পারে।

Monday, January 22, 2024

আমাদের একটা শৈশব ছিলো




 আমাদের একটা শৈশব ছিলো। লাল-নীল ঘুড়ি ছিলো। ডিয়ার ফুটবল আর টেপটেনিস, মারুতীর ক্রিকেট সেট ছিলো। আর এসব খেলার জন্য চার একরের একটা বিশাল মাঠ ছিলো। বর্ষায় সেই মাঠে বৃষ্টির পানি জমতো। আমরা সেই পানিতেও ফুটবল খেলতাম। জমা জল যখন হাঁটুর উপরে উঠে যেতো তখন সেটা হয়ে যেতো এক বিশাল দিঘির মতো। সেখানে আমরা আর এইসব হাঁসেরা মিলে মাছ ধরতাম। সারাদিন হাঁসগুলো দলবেঁধে মাঠজুড়ে সাঁতার কাটতো। কোন এক বৃষ্টিস্নাত সকালে আমি এই হাঁসটির অনেক ছবি তুলেছিলাম।

🥰
তারপর একদিন এলাকায় আধুনিকতার জোয়ার বইলো। মাঠ চলে গেলে মেডিকেল কলেজের পেটে। আর হাঁসগুলোও চালের রুটি অথবা ভুনা খিচুড়ির সাথে মানুষের পেটে। সবই হারিয়ে গেলো। রইলাম শুধু আমরা আর আমাদের আপাত উন্নত জীবন।
"কোথাও সান্ত্বনা নেই পৃথিবীতে আজ;
বহুদিন থেকে শান্তি নেই।
নীড় নেই
পাখিরো মতন কোনো হৃদয়ের তরে।"
জীবনানন্দ দাশ। ❤️

Sunday, January 21, 2024

বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা আইন' ২০১৯





https://drive.google.com/file/d/1auYrIQLgEKKM7PyawvDla9GZySlZt8vl/view?usp=drive_link



'নিবন্ধিত চিকিৎসক' বলিতে একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক যিনি হোমিওপ্যাথিতে চিকিৎসক সনদ গ্রহণ করিয়াছেন.

কেন এখনো আস্থা বাংলাদেশের রোগীদের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রতি?

 



ঢাকার উত্তরার বাসিন্দা “আরিফ” প্রায় পনেরো বছর ধরে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার পাশাপাশি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাও নিচ্ছেন।

তিনি বলছেন, কোন কোন রোগে তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় ভালো উপকার পেয়েছেন।

''আঁচিল, চর্মরোগের মতো সমস্যাগুলোয় হোমিওপ্যাথি ওষুধে খুব ভালো উপকার পেয়েছি। হাসপাতালে গেলে এগুলোর জন্য সার্জারি বা লেজার করে।

কিন্তু হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে কিছুদিনের মধ্যে এগুলো ভালো হয়ে গেছে।'' তিনি বলছেন।

কিন্তু শারীরিক বড় সমস্যার জন্য তিনি বরাবরই অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

কারণ হিসাবে তিনি বলছেন, ''হোমিওপ্যাথি ওষুধে ভালো হতে কিছুদিন সময় লাগে। কিন্তু সার্জারি করার মতো বা বড় কোন সমস্যায় সেই দেরী করার ঝুঁকি নিতে চাইনা বলেই এ ধরণের সমস্যা হলে হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে যাই।''

বাংলাদেশে মিঃ আহমেদের মতো অনেক মানুষ নানা সমস্যায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় এই চিকিৎসা অত্যন্ত জনপ্রিয়।

বরগুনার পাথরঘাটার হাসিনা বেগম বলছেন, ''হাসপাতালে গেলে অনেক টাকা লাগে, কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে ডাক্তারের খরচ, ওষুধের অনেক কম।

সময় লাগলেও রোগ ভালো হয়। আর তাতেও ভালো না হলে হাসপাতাল তো আছেই।''

তিনি বলছেন, তার বোনের পেটে একটি টিউমার হওয়ায় ডাক্তার অপারেশন করতে বলেছিলেন।

কিন্তু তাতে কয়েক লাখ টাকা লাগবে, যা তার নেই। তাই হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাচ্ছেন, যদি তাতে ভালো হয়ে যান।

তবে একেবারে আলাদা মতও রয়েছে।

ফরিদপুরের বাসিন্দা রফিকুল হক বলছেন, ''আমি কখনো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নেই না, কারণ এটা আমার কাছে বিজ্ঞান সম্মত মনে হয়না, তাই ঠিক বিশ্বাস হয়না।

শারীরিক যেকোনো সমস্যার জন্য আমি বা আমার পরিবারের সদস্যরা অ্যালিপ্যাথি চিকিৎসকের কাছেই যাই।''

বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথি বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, এই বোর্ডে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজারের বেশি তালিকাভুক্ত চিকিৎসক রয়েছেন।

হোমিওপ্যাথির উৎপত্তি

হোমিওপ্যাথির উৎপত্তি জার্মানিতে, প্রায় দু'শ বছর আগে।

যদিও ভারতীয় উপমহাদেশে এর ব্যবহার শুরু হয় প্রায় আশি বছর আগে; অর্থাৎ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর।

এই চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক ডা. স্যামুয়েল হ্যানিমেনের জন্মবার্ষিকীর দিনে আজ অনেক দেশের মতো বাংলাদেশে আজ পালন করা হচ্ছে হোমিওপ্যাথি দিবস।

বাংলাদেশে কত মানুষ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিচ্ছেন?

বাংলাদেশে সরকারি হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল মজিদ বলছেন, ''আমরা একটি জরিপ করে দেখেছি যে, বাংলাদেশে এখন ২৮ শতাংশ মানুষ হোমিওপ্যাথি এবং ইউনানি চিকিৎসা নিচ্ছেন।''

তিনি জানান, ২০১৮ সালে তাদের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে ৪৬ হাজার রোগী, যা আগের বছরের চেয়ে বেশি।

আর ভর্তি রোগী ছিলেন ৫১০জন, যাদের দীর্ঘমেয়াদি নানা রোগ রয়েছে।

দেশের বাকি ৬০টি কলেজ ও হাসপাতাল মিলিয়ে মোট চিকিৎসা পাওয়া রোগীর সংখ্যা আরো বেশি হবে বলে তিনি জানান।

মিঃ মজিদ বলছেন, সহজলভ্য, কম খরচ আর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন হওয়ার কারণে অনেকেই তাদের চিকিৎসার জন্য হোমিওপ্যাথিও ওপর নির্ভর করেন।

একসময় নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের মধ্যে এই চিকিৎসার জনপ্রিয়তা থাকলেও, এখন উচ্চবিত্তরাও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার জন্য আসছেন বলে তিনি জানান।

কিন্তু অনেক চিকিৎসক অভিযোগ করেন, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় সময় ক্ষেপণের কারণে অনেক বড় বড় রোগ আরো ছড়িয়ে পড়ে, ফলে পরবর্তীতে অস্ত্রোপচার বা চিকিৎসায় আরোগ্য করা সম্ভব হয়না।

ঢাকার একটি হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক তৌফিক আহমেদ বলছেন, ''অনেক সময় আমরা এমন রোগী পাই, যারা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরেও এতদিন হোমিওপ্যাথি বা আয়ুর্বেদীয় চিকিৎসা নিয়েছেন।

আমাদের কাছে তারা এসেছেন একেবারে শেষ পর্যায়ে, যখন আমাদের কিছু করার সুযোগ সীমিত হয়ে যায়। ''

হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থা আসলে কতটা কার্যকর?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ সাব্বির হায়দার বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ''অন্যান্য অনেক চিকিৎসা ব্যবস্থা যেমন আছে, হোমিওপ্যাথি তার মতোই একটি চিকিৎসা ব্যবস্থা।

দুইশো বছর ধরে এটি চলে আসছে। এটি সফল বা কার্যকর না হলে এতো মানুষ তো এতদিন ধরে চিকিৎসা নিতো না, কোন ভিত্তিহীন বিষয় তো এতদিন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতো না।''

তিনি বলছেন, ওষুধের দিক থেকে পার্থক্য না থাকলেও, চিকিৎসা পদ্ধতিতে পার্থক্য আছে। একটি রোগ কিভাবে সনাক্ত করবো, সেটির চিকিৎসা কীভাবে করা হবে, সে নিয়ে অ্যালোপ্যাথির সঙ্গে বড় পার্থক্য রয়েছে।

কারণ এই চিকিৎসাটি মূলত লক্ষণ ভিত্তিক আর এখানেই অ্যালোপ্যাথির সঙ্গে তার একটি বড় পার্থক্য রয়েছে বলে তিনি বলছেন।